সংক্ষিপ্ত পরিচিতি



রাহেলা বেগম আদর্শ মহিলা মাদরাসার

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও ইতিহাস

শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। মেরুদন্ডহীন প্রানী যেমন অচল হয়ে যায়, শিক্ষাবিহীন জাতিও তেমন গতিহীন ও লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়। শিক্ষা জাতির উন্নতির সোপান । শিক্ষা সুশীল সমাজ বিনির্মানের চাবিকঠি। সুন্দর সমাজ গড়ার পূর্বশর্ত। সকল প্রকার অসভ্যতা দূর করার হাতিয়ার। শিক্ষাই কেবল মিটাতে পারে দুস্থ ও বি ত দের হাহাকার । তবে মানব রচিত কোন শিক্ষা ব্যবস্থা নয় বরং একমাত্র খোদা প্রদত্ত কুরআন সুন্নাহর তালীমই মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন সফলতা আনতে পারে । মুসলমানদের জীবন নামের বাহনের গাইড লাইন হচ্ছে দ্বীনী জ্ঞান। গাইড লাইন ছাড়া যেমন যান চলতে পারে না, শরয়ী নিয়ম নীতি ও বিধি-বিধান না জেনে তেমনি জীবন নামের বাহন পরিচালনা সম্ভব নয়। এ জন্যই পবিত্র কুরআনে দ্বীনী শিক্ষাকে মুমিন জীবনের বড় ও অপরিমেয় সম্পদ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর তাই হাদীস শরীফে দ্বীনী ইলম শিক্ষা গ্রহণ করাকে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল মুসলমানের জন্য ফরজ করা হয়েছে। (সুনানে ইবনে মাজাহ)।
বস্তুত প্রকৃত শিক্ষা তাই-ই যা বিবেক বুদ্ধিকে নৈতিকতায় উজ্জীবিত করে, যা জ্ঞান-চিন্তাকে পরিশীলতায় সজীব করে, যা আখলাক চরিত্রকে সুনির্দিষ্ট নীতি ধারায় নিয়ন্ত্রিত করে এবং সর্বোপরি যা সৃষ্টিকর্তার অমিয় মারিফতে হৃদ আত্মাকে পরিশুদ্ধ ও সমৃদ্ধ করে । তা একমাত্র দ্বীনী শিক্ষাই সম্ভব এবং সে সব কেবল দ্বীনী ইলমেরই বৈশিষ্ট্য । ইসলামের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ইসলামের শিক্ষাকে বাস্তব ভাবে অনুশীলনকারী সমাজই এর প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। বলতে কি, শিক্ষা বলতে এককালে এদেশে একমাত্র ইসলামী জ্ঞান শিক্ষাকেই মানুষ বুঝতো। কিন্তু বৃটিশ ইংরেজদের দশ বছরের উপনিবেশের কারণে আমাদের সেই ঐতিহ্য এখন কেবল অতীত ইতিহাস রূপেই পরিগণিত। বৃটিশদের প্রবর্তিত ইংরেজী কৃষ্টি কালচার ও ইংরেজী ধারার শিক্ষা ব্যবস্থার আবর্তে আমাদের জাতীয় ও ঐতিহ্যগত ফরজ দ্বীনী শিক্ষা অবহেলিত হয়ে বর্তমান পর্যায় পর্যন্ত এসে ঠেকেছে। এরপর মহান আল্লাহ শোকর, মুসলমানদের মূল মুসলমানী শিক্ষাধারাকে সমুন্নত রাখতে জানতোড় মেহনত করে আকাবিরে উলামা হাযারাত মাদরাসা শিক্ষার সিলসিলা বজ্র মুষ্ঠিতে ধারনপূর্বক দ্বীনী শিক্ষাধারা চালু রেখেছেন, যার কারণে আমাদের সন্তানেরা আজ সেখান থেকে দ্বীনের ইলম জ্ঞান আহরন করছে। বৃটিশ প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থার বিষফল হতে উপমহাদেশের সরল প্রাণ মুসলমানদের ঈমান-আকীদা ও তাহযীব-তামাদ্দুনকে হেফাজত করতে ইসলামী শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ১৮৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বখ্যাত ইসলাম ও স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলনে উৎসর্গিত প্রাণ এক প্রতিষ্ঠান। তৎকালীন উপমহাদেশের দূরদর্শী উলামায়ে কিরামের আজন্ম লালিত চেতনার প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়ন। বৃটিশ উপনিবেশের শিকার উপমহাদেশের ইসলামের সঠিক শিক্ষা ও আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আদর্শিক রাজনৈতিক ও মনস্তাত্বিক গোলামীর শৃংখল থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করাই ছিল দারুল উলূমের চেতনা। এ চেতনা বিস্তারের লক্ষ্যে সমসাময়িককালে মাযাহেরে উলূম সাহারানপুরসহ অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। পর্যায়ক্রমে গোটা উপমহাদেশে গড়ে উঠে এ ধারায় অসংখ্য মাদরাসা। আমাদের দেশে 

প্রচলিত মাদারিসে কওমিয়া তারই বাস্তব নমুনা ।

ঐতিহ্যবাহী রাহেলা বেগম আদর্শ মহিলা মাদরাসাও বিশ্বখ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দের পাঠক্রমের আলোকে যুগোপযোগী শিক্ষা কারিকুলামে পরিচালিত একটি শীর্ষস্থানীয় বৃহত্তর ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঐতিহ্যবাহী এই দ্বীনী প্রতিষ্ঠানটি ১৪২৬ হিজরী মোতাবেক ২০০৫ ঈ. সনে মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী থানায় ধীপুর ইউনিয়নে রাউৎভাগ গ্রামে অক্লান্ত পরিশ্রম ও এলাকাবাসীর তথা মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সার্বিক সাহযোগিতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেন বিশিষ্ট ধর্মানুরাগী আলহাজ্ব শেখ মোঃ নূরুল হক সাহেব। উক্ত মাদরাসার নাম করণ করা হয় রাহেলা বেগম আদর্শ মহিলা মাদরাসা নামে এবং পরবর্তীতে আরবীতে নামকরণ করা হয় জামিয়া আরাবিয়া রাহেলা বেগম। ২০০৫ সনে স্থাপিত এই মাদরাসাটিতে প্রাথমিক পর্যায়ে ছালেছ জামাত পর্যন্ত শিক্ষা দেওয়া হয় । অতঃপর ধীরে ধীরে ইবতেদাইয়্যাহ, মিযান, নাহবেমীর, হিদায়াতুন্নাহু ও হিদায়া জামাত পর্যন্ত চালু করা হয় । দুই বছর এইভাবে অব্যাহত থাকার পর ২০১৩ ঈ. সনে মিশকাত জামাত চালু করা হয় এবং মক্তব বিভাগ ও কিতাব বিভাগ আলাদা করে নূরানী পদ্ধতিতে সবক দেওয়া হয়। অতঃপর ২০১৪ ঈ সনে সর্বোচ্চ জামাত তাকমীল (মাষ্টার্স সমমান) পর্যন্ত চালু করা হলে মাদরাসাটি একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপ নেয়। এলাকার বিশিষ্ট ধর্মানুরাগী ও দানবীর ভাই-বোন এবং উদার ও মহৎপ্রাণ ব্যক্তিত্ব সম্মানিত কমিটি সদস্যদের আপ্রাণ চেষ্টা সাধনা ও নেক দোয়ার বরকতে মাত্র দশ বছরের ব্যবধানেই । উক্ত মাদরাসাটি একটি বৃহত্তর প্রতিষ্ঠান হিসাবে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে । স্কুল কলেজ পড়া মেয়েদের হদায়াতের লক্ষ্যে ও তাদের কল্যানার্থে খুছুছী বা বিশেষ জামাত নামে একটি জামাত চালু করা হয়। এতে সল্প ময়ের মধ্যে সহীহ শুদ্ধ রূপে পবিত্র কুরআন, বিষয় ভিত্তিক হাদীস, আদইয়ায়ে মাসনুনাহ ও প্রয়াজনীয় মাসআলা মাসায়েল নূরানী পদ্ধতিতে সূচারুরূপে শিক্ষা দেওয়া হয় এবং এতে করে তারা বিশুদ্ধ রূপে আরবী ভাষা বলতে, লিখতে ও পড়তে পাড়ার এক বিশেষ দক্ষতা হাসিল করে। অতঃপর ২০১৫ ঈ. সনে মাদরাসাটি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ বা বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের আওতাভুক্ত হয়।

এবং ২০১৭ ঈ, সনে আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর অন্তর্ভুক্ত হয় এবং তার পাঠ্য সিলেবাস অনুযায়ী শিশু জামাত থেকে তাকমীল জামাত পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। বর্তমানে শিশু শ্রেণী থেকে শুরু করে ১২ বছরে আলিমা হওয়ার বিশেষ সুযোগ সুবিধা রয়েছে । ২০১৬ ঈ. সনে বাংলাদেশ নূরানী তালীমুল কোরআন ইনিষ্টিটিউট-এর অধীনে রমযান মাসের জন্য ২৫ দিন ব্যাপী নূরানী মুয়াল্লীমা ট্রেনিং ও নূরানী ক্বারীয়ানা ট্রেনিং কোর্স চালু করা হয় । এই ইলমী প্রতিষ্ঠানের সুনাম বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে গেলে বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচ শতাধিক ছাত্রী ওহী লব্ধ জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে এখানে সমাবেশ হয়। ফলে পুরনা আবাসভূমিতে তাদের সংকুলান না হওয়ায় ২০১৬ সনের ফেব্রæয়ারী মাস থেকে ছাত্রীদের পড়ালেখা সুবিধার্থে ৪ তলা ভবনের কাজ শুরু করা হয়। বর্তমানে তার দুতলা সুসম্পন্ন হওয়ায় তাতে সুচারুরূপে পাঠদান শুরু করা হয়। অতি সল্প সময়ের মধ্যেই তার ভবিষ্যত পরিকল্পিত কাজ সুসম্পন্ন হয়ে সমকালীন যুগের আদর্শ মানুষ গড়ার এক মহা প্রতিষ্ঠান হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ । 

লক্ষ ও উদ্দেশ্য।

জামিয়ার লক্ষ্য উদ্দেশ্য ঃ কুরআন হাদীস তথা ইসলামী শরীয়তের ইলম শিক্ষা দিয়ে মুসলমান সন্তানদের যাগ্যে আলিমা, আধ্যাত্বিক ও নৈতিক জ্ঞান সম্পন্ন আদর্শ ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তালো। অশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির কড়াল গ্রাসে আক্রান্ত এই সমাজের আনাচে কানাচে দ্বীনের আলাে পৌঁছে দেওয়া এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই আমাদের মূল লক্ষ ও উদ্দেশ্য।

জামিয়ার বৈশিষ্ট্যসমূহ :

১। অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একঝাঁক আদর্শ শিক্ষক-শিক্ষিকামন্ডলী দ্বারা শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও তারবিয়্যাত প্রদান। ২। শরয়ী পর্দা ও নিরাপত্তার সাথে প্রায় ৭০০ নারী শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা। ৩। ইলমে দ্বীন শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তবিক জীবনে রাসূলের সুন্নাত অনুসরনে উদ্বুদ্ধ করন ও দীক্ষা দান। ৪ । তত্ত¡াবধানের জন্য মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে ১৭/১৮ জন আবাসিক শিক্ষিকার সার্বক্ষণিক অবস্থান। ৫। অসুস্থ ছাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান। ৬। প্রয়াজেনে জেনারেট/আইপিএস-এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা। ৭। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে সুরক্ষিত উঁচু দেয়াল, কাটা তারের বেড়া ও দ্বাররক্ষী দ্বারা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ। ৮। ইয়াতীম ও দুঃস্থ ছাত্রীদেরকে লিল্লাহ ফান্ডের মাধ্যমে সহযোগিতা প্রদান। ৯। মনোরম, নিরিবিলি, নিরাপদ ও খোলামেলা পরিবেশে শিক্ষা দান। ১০। নির্মাণাধীন ২টি বহুতল নিজস্ব ভবনে পূর্ণ নিরাপত্তার সাথে পাঠদান। ১১। অভিভাবকদের সু-পরামর্শ সাদরে গ্রহণ। ১২। সুষ্ঠ পরিচালনা ও উন্নয়নের জন্য সুশীল ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত ২৪ সদস্যবিশিষ্ট কার্যকরী কমিটির সার্বিক তত্ত¡াবধান ও পরামর্শ অনুযায়ী মাদরাসা পরিচালনা করা। ১৩। মাদ্রাসার অভ্যন্তরে সংরক্ষিত প্রবেশাধিকার-স্বাক্ষাত কার্ড ব্যতীত পুরুষদের স্বাক্ষাতের কোনই সুযোগ নেই এবং মহিলা দর্শনার্থীকে অফিসের অনুমতিক্রমে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। ১৪। বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবার্ডে (বেফাক)-এর সিলেবাস অনুকরণ ও হাইআতুল উলইয়া পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ । 

মাদ্রাসা কমিটি:

ক) মজলিসে শুরা বা উপদেষ্টা পরিষদঃ দেশের প্রখ্যাত আলিম এবং মাদ্রাসার নীতি আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশী দীনদার ব্যক্তিগনের সমন্বয়ে মজলিসে সূরা গঠিত। খ) মজলিসে আমিলা বা কার্যনির্বাহী কমিটিঃ মজলিসে আমিলা হবে প্রতিষ্ঠানের কার্যনির্বাহের দায়িত্বশীল মজলিস, মজলিসে শুরার সিদ্ধান্ত ও দিক নির্দেশনার আলােেক প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কাজ কর্ম সুষ্ঠুভাবে আক্তা দান এই মজলিসের অন্যতম দায়িত্ব। তবে এই মজলিস তাদের যাবতীয় কাজকর্মের জন্য মজলিসে শুরার নিকট জবাবদিহী করতে বাধ্য থাকবে। গ) মজলিসে ইলমী বা শিক্ষা বিষয়ক কমিটিঃ মাদ্রাসার মুহতামিম এবং সিনিয়র শিক্ষক/শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিটি মাদ্রাসার শিক্ষা-দীক্ষা সংক্রান্ত ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করে প্রতিষ্ঠানকে সুচারু রূপে চলমান রাখার দায়িত্ব পালন করে । মাদ্রাসার শিক্ষা বিষয়ক বিভাগসমূহ :
নূরানী বিভাগ ঃ নূরানী পদ্ধতিতে সহজ ও বিশুদ্ধরূপে কুরআন, বিষয় ভিত্তিক হাদীস, দুআ ও মাসায়েল মুখস্থ করা সহ ১ম শ্রেণী হতে ৪র্থ শ্রেণী পর্যন্ত প্রয়োজনীয় বাংলা, অংক ও ইংরেজী শিক্ষা দেওয়া হয়। কিতাব বিভাগ: এখানে দক্ষ আদর্শ শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী দ্বারা কওমী মাদ্রাসা শিক্ষবোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী শিশু শ্রেণী থেকে দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত সুবিন্যস্ত কিতাব বিভাগ। বাংলা বিভাগ: এ বিভাগে ৮ম শ্রেণী সমমানের বাংলা, ইংরেজী, অংক সুদক্ষ শিক্ষিকা দ্বারা পড়ানো হয় । নূরানী কেরাত বিভাগ: এ বিভাগে সুযাগ্য মহিলা ক্বারীয়া দ্বারা কুরআন শরীফ তাজবীদসহ নূরানী ট্রেনিং এর মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হয়। এবং নিত্য প্রয়োজনীয় মাসআলা মাসায়েল শিক্ষার সু-ব্যবস্থা রয়েছে । সাপ্তাহিক তালীমী মজলিস: প্রতি সোমবার বিকাল ৩টা হতে ৫টা পর্যন্ত নারী সমাজের শিরক বিদআত ও কুসংস্কারমুক্ত ইসলামী জীবন মান উন্নতিকরনের লক্ষ্যে কালিমা, নামায, রোজা, হজ্ব, যাকাত প্রসঙ্গে কিতাবী তালীম ইস্তিঞ্জার আদব, অজু, গোসল, পর্দা ইত্যাদি সম্পূর্ণ বাস্তব প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় । অনৈসলামিক কালো থাবা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী আদর্শ পরিবার গঠনে উদ্বুদ্ধ করা হয়। সাপ্তাহিক বক্তৃতা প্রশিক্ষণ মজলিস: সপ্তাহে একদিন শিক্ষিকাদের তত্বাবধানে ছাত্রীদের প্রতিযোগিতামূলক বিষয়ভিত্তিক বক্তৃতা প্রশিক্ষণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। যাতে করে তাদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে সমাজের মানুষের সামনে যেন দ্বীনের হুকুম আহকাম নির্ভুলভাবে উপস্থাপনকরতঃ সমাজ সংস্কারে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। কুতুবখানা বিভাগঃ এ বিভাগের মাধ্যমে সুযাগ্য মুফতীয়ানে কেরামদের মাধ্যমে মানব জীবনে সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যাবলির কুরআন হাদীস ভিত্তিক ফতোয়া দেয়া হয়।

মাদ্রাসার ভবিষ্যত পরিকল্পনা:

১। উচ্চতর গবেষণা কোর্স ইলমুল কিরাত, উলুমুল হাদীস, ইলমুল ফিকাহ, ইলমুল কালাম, সীরাত, ইসলামী অর্থনীতি ও সমাজনীতি, ইসলামী দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে ব্যুৎপত্তি অর্জনের লক্ষ্যে তাখাসসুস বিভাগ চালু করা। ২। কারিগরী বিদ্যা বিভাগঃ যেমন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই ইত্যাদি কোর্স চালু করা। ৩। স্বতন্ত্র রচনা গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগ চালু করা। ৪। স্বতন্ত্র ইয়াতিমখানা প্রতিষ্ঠা। ৫। লেখা পড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে স্বতন্ত্র ছাত্রী নিবাস প্রতিষ্ঠা। ৬। ছাত্রীদের লেখাপড়ার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বতন্ত্র দারুল মুতালাআ প্রতিষ্ঠা। ৭। স্বতন্ত্র ইবাদতগাহ মাদ্রাসার শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের ফরজ, নফল ইবাদত বন্দেগী আদায়ের জন্য পৃথক ইবাদত খানা নির্মাণ

No Comment
Add Comment
comment url